বাংলাদেশের নারী জাগরণের ইতিহাসে বেগম রোকেয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা। তিনি একজন অনন্য প্রতিভাধর লেখিকা, সমাজ সংস্কারক এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ড নারী শিক্ষা, সামাজিক সচেতনতা এবং নারীর অধিকার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিন, ৯ ডিসেম্বর, বাংলাদেশে "বেগম রোকেয়া দিবস" হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি নারীদের সবলীকরণ এবং সমাজে তাদের সমান অংশগ্রহণের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
বেগম রোকেয়া: একজন অগ্রণী নারী
বেগম রোকেয়া তাঁর সময়ের জন্য একজন অত্যন্ত উদার চিন্তাবিদ ছিলেন। তিনি নারীদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে কণ্ঠস্বর তুলেছিলেন এবং সমাজের পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তাঁর লেখা উপন্যাস, গল্প ও প্রবন্ধগুলি নারীদের জীবন ও সংগ্রামের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। বিশেষ করে, তাঁর উপন্যাস "সুলতানার স্বপ্ন" নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
কেন পালন করা হয় বেগম রোকেয়া দিবস?
বেগম রোকেয়া দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো:
-
বেগম রোকেয়ার অবদান স্মরণ করা
-
নারী শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করা
-
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা
-
নারীদের উদ্বুদ্ধ করা
বেগম রোকেয়া দিবসের ইতিহাস
বছর
|
ঘটনা
|
১৮৮০
|
৯ ডিসেম্বর: বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন।
|
১৯৩২
|
৯ ডিসেম্বর: বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন।
|
১৯৮০
|
বেগম রোকেয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে।
|
প্রতি বছর
|
৯ ডিসেম্বর: বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়।
|
আজকের দিনেও বেগম রোকেয়ার আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁর দেখা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। নারীদের সমান অধিকার, সুযোগ এবং সম্মান নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।