সাধারণ ডট নেটে আপনাকে স্বাগতম! রেজিষ্ট্রেশন করে আজই আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে যান...

বিজ্ঞানী ও আবিষ্কার - প্রশ্ন উত্তর

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
কিভাবে মহাজাগতিক গ্যাস মেঘ সৃষ্টি হয়?

মহাজাগতিক মেঘ গুলো হিলিয়াম আর হাইড্রোজেনের মতো হালকা গ্যাস গুলো দিয়ে তৈরি। এই গ্যাস গুলো সাধারণ অবস্থায় ব্যাপন করতে পারে। আর অনেক পরিমাণে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেনের মতো গ্যাস গুলো এক জায়গায় একত্রিক হয় তখন আমরা সেটাকে বলি মহাজাগতিক মেঘ। 


আর মহাজাগতিক মেঘে গ্যাসের ঘনত্ব এতোটাই বেশি হয় যে তখন সেখানে গ্রাভিটি কাজ করতে শুরু করে দেয়। তখন আসে পাশের গ্যাস গুলোকে সে নিজের দিকে টেনে নেয়। এভাবে গ্যাস ঘনত্ব যত বাড়তে থাকে গ্র্যাভিটিশনাল ফোর্স বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও তত বাড়তে থাকে। এভাবে বাড়তে বাড়তে যখন গ্রাভিটি অনেক বেড়ে যায় তখন এই গ্রাভিটিকে ইগ্নোর করে ব্যাপন আর হতে পারে না কারণ এই গ্যাস গুলো তখন আর স্টাবল পর্যায়ে থাকতে পারে না। এর ফলে গ্যাস গুলো এক জায়গায় জড়ো হয়ে থাকে বাহিরে যেতে পারে না। এই অবস্থাকে বলে Gravitational Collapse of Gas Clouds. আর গ্যাস ক্লাউডে গ্যাসের এই আন-স্টেবল বা অস্থিতিশিলতাকে বলে Jeans instability. 


Jeans instability সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Jeans_instability


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বাসা-বাড়িতে যেন সাপ না ঢুকে এজন্য কি কি করতে পারি?
সবার আগে বাসার আশ-পাশ পরিষ্কার রাখুন বিশেষ করে যেসব জায়গা দেখে মনে হবে যে এসব জায়গায় সাপ থাকতে পারে। সাপ মুলত নিরিবিলি, ঝোপ-ঝাড়, অন্ধকার এরকম জায়গা পছন্দ করে তাই এরকম জায়গা গুলো সবার আগে পরিষ্কার করুন। 

সাপ সাধারণত অ্যামোনিয়ার গন্ধ একদম পছন্দ করতে পারে না। তাই বাসার আশে-পাশে অ্যামোনিয়া স্প্রে করলে অনেকখানি সেফ থাকা যায় কিন্তু আমাদের দেশে সব জায়গায় অ্যামোনিয়া পাওয়া যায় না। সেক্ষত্রে ন্যাপথালিন অনেক ভালো একটা বিকল্প হতে পারে। সাপ-পোকা তাড়ানোর জন্য ন্যাপথালিন অনেক ভালো কাজ করে। ন্যাপথালিনের বল আপনার বাসার বিভিন্ন কোণায় টাঙিয়ে দিন। আর আপনার বাসার আশে পাশে যদি কোনো গর্ত বা ফাটল থাকে যেখান দিয়ে সাপ যাওয়া আসা করতে পারে সেই জায়গায় একটা ন্যাপথালিন এর বল পুতে রাখুন বা টাঙিয়ে দিন। 

তবে বাচ্চা ও পোষা প্রাণীদের নাগাল থেকে ন্যাপথালিন দূরে রাখবেন। ভুল করে খেয়ে নিলে বিষক্রিয়া হতে পারে, বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। 

সোর্স ও বিস্তারিতঃ

https://www.callnorthwest.com/2019/04/home-remedies-to-keep-snakes-away/

https://www.terminix.com/blog/home-garden/how-to-prevent-snakes-on-your-property/
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
এআই কি নকল ফিঙ্গারপ্রিন্ট বানাতে পারে?

হ্যা। এআই দিয়ে যেকোনো মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্টের নকল বানানো সম্ভব। এরকমই একটা গবেষণা করেছিলো New York University Tandon School of Engineering এর একদল গবেষক এবং তারা সফলও হয়েছে। 


তারা একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে ট্রেইন করার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নকল করার জন্য। তারা বেশ কয়েক জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একটি সেগুলোক এআই এর মাধ্যমে প্রসেস, অ্যানালাইসিস করে একটা মাস্টার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বানায়। এই মাস্টার ফিঙ্গারপ্রিন্টকে নাম দেওয়া হয় DeepMasterPrints. 


আমরা যেসব ডিভাইস ইউজ করি, এই ডিভাইস গুলোর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন এর সিস্টেম একটু অবাক করার মতোই। আমরা যখন আমাদের মোবাইলে বা অন্য কোনো ডিভাইসে আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেট করে দেওয়ার পর আনলকের জন্য আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিই তখন আমাদের পুরো ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে ম্যাচ করে না, শুধু আংশিক বা পার্শিয়াল একটি অংশ ম্যাচ করে দেখে। যদি এই পার্শিয়াল অংশ ম্যাচ করে তাহলে আমরা আনলক করতে পারি। 


বিষয়টি আরেকটু ভালো ভাবে বুঝালে হয় তো আরও সুবিধা হবে। যখন আপনি আপনার মোবাইলে প্রথম বার সেটিংসে গিয়ে আপনার ফিঙ্গাপ্রিন্ট সেট করেন তখন আপনাকে আপনার আঙ্গুলের বিভিন্ন অংশের প্রিন্ট দিতে হয়, বেশ কিছুক্ষ্ণ টাইমও লাগে। কিন্তু যখন আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ফোন আনলক করতে যান তখন কি এতো কিছু করতে হয়? না, তখন দেখবেন আপনার আঙ্গুলের যেকোনো একটি অংশ দিলেই আনলক হয়ে যাচ্ছে। 


এটাই মুলত ফিঙ্গারপ্রিন্টের দুর্বলতা আর এটাকে কাজে লাগিয়েই New York University Tandon School of Engineering এর গবেষকরা পুরো সিস্টেমকে বোকা বানাতে পেরেছে। কয়েকজনের পার্শিয়াল ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একটা মাস্টার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বানিয়েছে, এবং এই পার্শিয়াল ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশনকে ক্র্যাক করেছে। 


তবে কিছু কিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম আবার ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি Liveness Detection (ব্লাড প্রেশার, দেহের তাপমাত্রা) ব্যবহার করে আসল নকল ডিটেক্ট করে। কারণ একজন মৃত মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিংবা নকল ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যাতে ক্র্যাক না করা যায়। প্রযুক্তির সাথে সাথে এসব বায়োমেট্রিক সিস্টেমগুলো আরও আপগ্রেড হচ্ছে।


সোর্স ও বিস্তারিত জানতেঃ https://engineering.nyu.edu/news/machine-learning-masters-fingerprint-fool-biometric-systems


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
কোনো কাক মারা গেলে অন্য কাকেরা কেন এক জায়গায় হয়ে "কা কা" করতে থাকে?

কাকরা প্রকৃতিকে দেখে অনেক কিছু শিখতে পারে। কোনো কাক মারা গেলে আশে পাশের সব কাক একত্রিত হওয়ার বিষয়টাকে বলে "শোক সভা (Funeral)". 


মানুষের শোক সভাতে যেমন মৃত মানুষের আত্মার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কির্তন মূলত গান করা হয় তেমনি কাকদের এই কা কা করার আওয়াজকেও সেরকমই এক কির্তন বলা হয়েছে। একে বলে Songbirds. 


কিন্তু শুধু কির্তন করার উদ্দেশ্যেই কাকরা একত্রিত হয় না। তাদের একটা বড় উদ্দেশ্য থাকে আর সেটি হলো যে জায়গায় তাদের সহযোগী কাকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে সেই জায়গা সম্পর্কে সচেতন বা সতর্ক হওয়া। যদি কোনো জায়গায় কোনো কাকের মৃতদেহ পাওয়া যায় তার মানে তারা ধরে নেয় এই জায়গার আশে পাশে কোনো শিকারী আছে অথবা এই জায়গার আশে পাশে তাদের জীবনের ঝুকি আছে। তখন তারা এই জায়গা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে সেখানে যতই খাবার থাকুক না কেন। তাই এই শোক সভা বা ফিউনেরাল করার সব থেকে বড় উদ্দেশ্য থাকে সেই জায়গা সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া। 


সোর্সঃ 

https://www.livescience.com/53283-why-crows-hold-funerals.html

https://www.sciencefocus.com/nature/raven-crow-funerals-intelligence


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
করলা পেকে গেলে কি করলার স্বাদ মিষ্টি হয়ে যায়?

করোলার স্বাদ তিতা লাগার কারণ এর ভিতরে থাকা মোমরডিসিন, চ্যারান্টিন এর মতো যৌগ। করোলা যখন পাকে তখন এর মধ্যে থাকা এসব মোমরডিসিন, চ্যারান্টিন এর পরিমাণ কিছুটা কমে যায় একবারেই চলে যায় না। এজন্য করোলা পাকলে অন্যান্য ফল ও সবজির মতো এটারও স্বাদে কিছুটা পরিবর্তন হয়। তখন করোলার তিক্ততা কিছুটা কমে যায়। 


মোমরডিসিন, চ্যারান্টিন এর পরিমাণ যত কমে যাবে ততই তিতা কম লাগবে ও ধীরে ধীরে মিষ্টি লাগতে শুরু করবে। তবে সব সময় মোমরডিসিন, চ্যারান্টিন এর পরিমাণ নাও কমতে পারে। করোলা পাকলে করোলার গঠন অনেকটা নরম হয়ে যায় সাথে করোলার ভিতরে যে বিচি গুলো থাকে সেগুলো হালকা হলুদ থেকে টকটকে লাল হতে থাকে। যত লাল হবে বিচি গুলোর তিক্ততা ততই বাড়বে। 


বিস্তারিত জানুনঃ https://www.theseedcollection.com.au/blog/beyond-the-ordinary-growing-bitter-melon


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
সুর্যকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটা পারমানবিক বোমা ছুড়লে কি হবে?

এখন পর্যন্ত সূর্যে কোনো বস্তু পৌছাতে পারেনি। সুর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ১০ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো সূর্যের বায়ুমন্ডলের সবথেকে বাহিরের যে অংশ "করোনা" এর তাপমাত্রা প্রায় ১ মিলিয়ন ডিগ্রী ফারেনহাইট যা সুর্য পৃষ্ঠের তাপমাত্রার তুলনায় প্রায় ১০০০ গুণ বেশি। মাঝে মাঝে এই স্তরের তাপমাত্রা ৩.৫ মিলিয়ন ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে।


এই তাপকে সহ্য করে সূর্যের সব কয়টি স্তর পার করে সূর্যের পৃষ্ঠকে স্পর্শ করতে পারবে এরকম কোনো ধাতু এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি। তবে এখন পর্যন্ত সূর্যের সব থেকে কাছাকাছি যেতে পেরেছে নাসার Solar Probe মহাকাশযান। এটি সুর্যের বায়ুমন্ডলের সবথেকে বাহিরের অংশ "করোনা" তে প্রবেশ করতে পেরেছিলো ২০২১ সালে। এর আগে কোনো মহাকাশ যান সূর্যের এতো কাছে যেতে পারে নি। 


তাই সূর্যের উদ্দেশ্যে যদি কয়েকটা পারমানবিক বোমা ছুড়ে দেওয়া হয় তাহলে সূর্যের কিছুই হবে না। কারণ এতো পরিমাণ তাপ সহ্য করতে পেরে সূর্যের কাছে যাওয়ার আগেই সেটি বোমা বিস্ফোরিত হয়ে যাবে। সূর্য পর্যন্ত এটি কখনো পৌছাতে পারবে না। সূর্য পর্যন্ত পৌছানো তো দুরেই থাক সুর্যের কাছাকাছি যাওয়ার আগেই এটি বিস্ফোরিত হয়ে যাবে। কোনো লাভই হবে না।  


সুর্য সম্পর্কে আরোও জানুনঃ https://science.nasa.gov/sun/facts/

নাসার সোলার প্রোব মিশন সম্পর্কে জানুনঃ https://science.nasa.gov/mission/parker-solar-probe/


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
এক কেজি লোহাকে এক কেজি তুলার থেকে বেশি ভারী মনে হয় কেন?
এর কারণটা হলো ঘনত্ব। লোহার ঘনত্ব অনেক বেশি হওয়ার অনেক কম জায়গায় বা ছোট আকৃতিতেও অনেক বেশি পরিমাণ ওজন ধারণ করতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে তুলার ঘনত্ব লোহার তুলনায় একেবারেই কম। তুলা অনেক হালকা আর ফাপা হওয়ার একই পরিমাণ উপাদান অনেক বেশি জায়গা দখল করে। ঠিক একারণেই এক তুলাকে এক কেজি লোহার থেকে হালকা মনে হয়।
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
কেন কম্পিউটারের থেকে উন্নত যন্ত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে না?

বিষয়টা কঠিন ভাবে চিন্তা না করে একদম সহজ ভাবে চিন্তা করুন একবার। বিজ্ঞান আসলে গণিতের প্র্যাকটিক্যাল রুপ। আমাদের আসে পাশে যত যন্ত্রই আমরা দেখতে পাই সবই কিন্তু গণিতের উপরেই চলে। ফ্যান, টিভি, এসি, মোবাইল, ফ্রিজ থেকে শুরু করে এআই, রকেট সায়েন্স, পারমানবিক বোমা সবখানেই গণিতের খেলা ছাড়া আর কিছুই না। আর ভবিষ্যতেও যা যা আসবে সেসবও হবে গণিতের উপরেই কারণ বিজ্ঞান মানেই গণিত। 


আর কম্পিউটার মানেই হলো গণনা যন্ত্র আর এটা অনেক কম সময়ে অনেক বেশি গণনা করতে পারে। তাই সব কিছু যেহেতু গণিতেরই খেলা তাহলে এখানে কম্পিউটারের থেকে ভালো কাজ কেউ করতে পারবে? পারবে না। তাহলে কম্পিউটারের থেকেও উন্নত এমন প্রযুক্তি বলতে কিন্তু এটাই বুঝায় যে কম্পিউটারের থেকেও কম সময়ে অনেক অনেক বেশি নির্ভুল গণনা সম্পন্ন করতে পারে এরকম প্রযুক্তি যেমন কোয়ান্টাম কম্পিউটার । ঘুরে-ফিরে সেই কম্পিউটারেরই মেকানিজমের মধ্যেই তো আসলো। তাই কম্পিউটার প্রযুক্তির উর্ধ্বে কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার করার থেকে এটাই বেটার হয় না যে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা? আর বিজ্ঞানীরাও সেটাই করছে। সেজন্যই সব প্রযুক্তিই কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দুধ-চিনি ছাড়া চা খাওয়ার উপকারিতা কি কি?

আপনি দুধ-চিনি ছাড়া চা খাচ্ছেন। এটা আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারই করে। 


চিনি ছাড়া চা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিনি যুক্ত চায়ে ক্যালোরি বেশি থাকে যা ওজন বাড়াতে পারে। চিনি ছাড়া চা মানেই জিরো ক্যালরি। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এটি ক্যান্সারের ঝুকি ৬০% কমায়। চায়ের ক্যাফেইন এবং এল-থিয়ানিন আপনাকে সারাদিন ধরে আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। চায়ের সাথে চিনি থাকলে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে চায়ের আর তেমন গুণ থাকে না। এজন্য চায়ের সাথে চিনি না খাওয়াই উত্তম। 


সোর্স ও বিস্তারিতঃ 

https://redblossomtea.com/blogs/red-blossom-blog/5-reasons-to-try-tea-without-sugar

https://samaaratea.com/blogs/blog/10-benefits-of-drinking-tea-without-milk

https://yeos.com.sg/surprising-benefits-of-enjoying-sugar-free-tea-diabetics-take-note/


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
টনি স্টার্ক আবার ডক্টর ডুম হয়ে ফিরে আসবে কিভাবে?

আসলে মার্ভেলের স্টোরিলাইনটাই এরকম যে যেকেউ যেকোনো ইস্যুকে নিয়ে নতুন নতুন থিওরি বানাতে পারে। আর একমাত্র মার্ভেলই পারে ছোট্ট একটা কো-ইন্সিডেন্স থেকে ধামাকাদার নতুন আরেকটি মুভির স্টার্টিং স্টোরি শুরু করা। এজন্যই মার্ভেল এতো জনপ্রিয়, এজন্যই মার্ভেল ইউনিভার্স নিয়ে মার্ভেল ভক্তদের এতো এতো এক্সাইটমেন্ট। 


তবে আমার মতে, টনি স্টার্ককে হঠাৎ ডক্টর ডুম বানানোর চিন্তা হঠাৎ করেই আসে নি। বরং এটাই তাদের প্ল্যান ছিল যে আজকের টনি স্টার্ক বা আইরন ম্যানই ডক্টর ডুম হয়ে ফিরে আসবে। এর পিছনে শুধু ডক্টর স্ট্রেঞ্জরই হাত আছে এমনটা আমার মনে হয় না। 


এর কারণ হলো মার্ভেল সব সময় টনি স্টার্কের আইডেন্টিটি সম্পর্কে একটা কনফিউশন রেখেছে। এখন পর্যন্ত টনি স্টার্ক হাওয়ার্ড স্টার্কের আসল ছেলে কিনা সেই বিষয়ে কোনো ক্লু দেয় নি উলটা পারলে এটা আরও ঘোলা করেছে। End Game এর সময় পাওয়ার স্টোন কালেক্ট করার সময় এরকমই একটা ক্লু দেওয়া হয়েছে। টনি স্টার্ক যখন তার বাবার অফিস থেকে পাওয়ার স্টোন চুরি করতে যায় তখনকার টাইম ছিলো তখন টনি স্টার্ক অনেক ছোট। আর টনি স্টার্কই তার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। কিন্তু স্টোন চুরি করার সময় টনি তার বাবার থেকে শুনতে পারে তার মা প্রেগনেন্ট। কিন্তু সেই সময়ে অলরেডি টনি জন্ম নিয়েছিলো। এখানেও একটা কনফিউশন যে তাহলে টনি স্টার্ক আসলে কে। টনি কি আসলেই জন্ম নিয়েছিলো নাকি টনি তার বাবার হাওয়ার্ড স্টার্কের অনেক কষ্টের বায়োটেকনোলজির কোনো ফলাফল? নাকি অন্য কিছু? 


এটা তো গেলো কেবল End Game এর কাহিনি। এরপর এখানে Kang বা He Who Remains এরও একটা বড় ধরণের হাত আছে। কারণ Doctor Doom একটা মাল্টিভার্সাল ভিলেন আর সব থেকে পাওয়ারফুল ভিলেন। আর Kang এর মাল্টিভার্সাল ওয়্যার জেতা, তারপর TVA বানানো, সিক্রেট টাইমলাইন ক্রিয়েট করাও একটা বড় কারণ হতে পারে এই Doctor Doom যেগুলো মার্ভেল আমাদের থেকে হাইড রেখেছে। এমনও হতে পারে যে, Doctor Doom এর হাত থেকে মাল্টিভার্স বাচাতেই He Who Remains সিক্রেট টাইমলাইন বানায়, Kang থেকে বাচার জন্য না। এরকম আরও কারণ থাকতে পারে সব গুলো আলোচনা করলে লেখাটা আরও বড় হয়ে যাবে।


কিন্তু Loki সিজন-২ এ যখন মাল্টিভার্সের ক্ষমতা Loki এর হাতে চলে যায় তখন অনেক সিক্রেট টাইম লাইনও অ্যাক্টিভ হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। হয়তো তখন এমন সিক্রেট সাইলেন্ট টাইমলাইনও আবার অ্যাক্টিভ হয়ে গেছে যে টাইমলাইনে অলরেডি Doctor Doom রাজ করতেছিলো। এতোদিন তার টাইমলাইন বা টাইমলাইন গুলো সাইলেন্ট করে রেখেছিলো He Who Remains তাই হয়তো সে মাল্টিভার্স থেকে আলাদা ছিলো আর আমরা সেকারণে তাকে এখনও পর্দায় দেখতে পাই নি। লকির কারণের আবার তার সিক্রেট সাইলেন্ট টাইমলাইন গুলো অ্যাক্টিভ হওয়ায় আবার জাগ্রত হয়ে উঠে আর এজন্যই আমরা প্রথমবারের মতো Doctor Doom কে দেখতে পারবো। 


তবে Doctor Strange যে ইচ্ছা করলেই Thanos কে মেরে ফেলতে পারতো সেটা অস্বীকার করার মতো না। কারণ Thor এর হাতেও Thanos দুইবার মারা গেছে। তাই Doctor Strange ইচ্ছা করেই Tony কে স্যাক্রিফাইস করেছে এটার সম্ভাবনাও উরিয়ে দেওয়া যায় না। আরেকটা জিনিস সেটা হলো Doctor Strange বা Kang কেউই কিন্তু Avengers Dooms Day তে নেই। যদি এরাই মেইন রিজন হতো টনির আবার Doom হয়ে ফিরে আসা তাহলে এদের রাখা হলো না কেন? 


আমরা Doctor Dooms সম্পর্কে মেবি আরও ক্লিয়ার কনসেপ্ট যদি Avengers The Kang Dynasty সিকুয়্যালটা রিলিজ হতো যেটার রিলিজ ডেট ছিলো আগামী ২ মে ২০২৫। কেন রিলিজ হচ্ছে না সেই কারণ হয়তো আমরা সবাই জানি,না আসার কারণে এটা আমাদের মার্ভেল ফ্যানদের জন্য একটা ব্যাড লাক। কারণ Kang এর স্টোরি বিল্ড-আপটা এতোটা দারুন ভাবে করা হয়েছিলো যে সবাই সেই Kang Dynasty এর সিকুয়্যালের জন্য অপেক্ষা করতেছিল। কিন্তু আপসোস! হয়তো এখানেই আমরা Doctor Dooms যে আসছে সামনে এ বিষয়ে ক্লিয়ার একটা ধারণা পেতাম। 


সেটা যাইহোক। বাড়তি অনেক কিছুই বলে ফেলছি তবে এটা সত্যি যে মার্ভেল ফ্যানরা যে যেরকম থিওরি বা স্টোরিই দিক না কেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মার্ভেল এমন স্টোরি নিয়ে সবার সামনে আসে যেটা সব থিওরিকে উড়িয়ে একদম তাক লাগিয়ে দেয়। যদিও মার্ভেলের এখন খারাপ সিজন চলতেছে, আশা করি এই Dooms Day ই আবার মার্ভেলকে আগের রুপে নিয়ে আসবে। আসতেই হবে কারণ সবার প্রিয়, সবার ফেবারিট সুপারহিরো Iron Man কে মার্ভেলের সবথেকে শক্তিশালী ভিলেনদের একজন হিসেবে দেখবে যেটা কেউ কখনো কল্পনাও করে নি। 


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
Dancing Pepper Effect কি? কেন হয়?

পানিতে মরিচ বা Pepper (সাধারণত গুড়া মরিচ) ছিটিয়ে দিলে এগুলো পানির উপর ভেসে থাকে, কারণ মরিচের গুড়া অনেক হালকা এবং পানির পৃষ্ঠ টান (Surface Tension) তাদের ভাসিয়ে রাখে। কিন্তু যখন পানিতে সাবান ছোঁয়ানো হয় তখন সাবান পানির এই পৃষ্ঠ টানকে ভেঙে দেয়। ফলে পানির উপরিভাগে এক ধরণের অসম চাপের সৃষ্টি হয় এবং পানি দ্রুত আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পানির এই হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে পানির উপর ভেসে থাকা মরিচের গুড়াগুলোও দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার উপর মরিচের গুড়া হাইড্রোফোবিক অর্থাৎ পানির এদের বিকর্ষণ করে। মরিচের গুড়া গুলোর এভাবে হঠাৎ ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য আমাদের চোখে অনেকটা মরিচের গুড়া গুলোর লাফিয়ে চলার মতো মনে হয়। তখন আমরা সেটাকে "Dancing Pepper Effect" বা "Pepper Dance" বলে থাকি।


সোর্স ও বিস্তারিতঃ https://www.scientificamerican.com/article/use-surface-tension-to-make-pepper-dance/


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
পাতালের নিচে কি পানি সত্যিই কমে যায়?
হ্যা পাতালের নিচে পানি (Groundwater Levels) কমে যেতে পারে আর এটার পরীক্ষামূলক প্রমাণও রয়েছে। এক গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকা শহরে প্রতি বছর Groundwater Levels ০.৬ থেকে ২.৪ মিটার পর্যন্ত নিচে চলে যেতে পারে। খিলগাঁও, সবুজবাগ, মতিঝিল, ধানমন্ডি, সূত্রাপুর, ক্যান্টনমেন্ট এবং মিরপুর এলাকার কিছু অংশ সব থেকে বেশি ঝুকিতে আছে। 

এর সমাধান শুধু সবার সম্মিলিতি প্রচেষ্টা ও অংশ গ্রহণেই সম্ভব। ভূগর্ভস্থ পানি (Groundwater) এর ব্যবহার কমিয়ে এর বিকল্প হিসেবে ভূ-পৃষ্ঠের পানিই ফিল্টারেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা, বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখা, ব্লক ট্যারিফ সিস্টেম বাস্তবায়ন করা, পানির অবাধ ব্যবহার মিটারিং করে পানির অপচয় কমানোই হতে পারে এর সমাধান। এই জন্য এই বিষয়ে আমাদের সকলের সচেতনা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। 

সোর্স ও বিস্তারিতঃ https://www.mdpi.com/2071-1050/14/3/1518
0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
দাদা-দাদীরা বলতো হাতির সুর নেমেছে, এটা আসলে কি?

এটা এক ধরণের Waterspout বা জলস্তম্ভ। Waterspout সাধারণত ২ ধরণের হয়ে থাকে, ভালো আবহাওয়ার জলস্তম্ভ (Fair-weather waterspout) ও টর্নেডিক জলস্তম্ভ (Tornadic waterspout). 


হঠাৎ কোনো বৈরি আবহাওয়া ছাড়াই (আকাশ হালকা অন্ধকার হতে পারে) যখন এরকম ঘটনা ঘটতে দেখা যায় তখন সেটা কে বলে Fair-weather waterspout আর এটা বেশ শান্ত প্রকৃতির হয়। এর মানে এটা অনেকটা আচমকাই হয়ে যায়। আবার খারাপ আবহাওয়া অর্থাৎ বিদ্যুৎ চমকানোর মতো মেঘ আকাশে, ঝড়ের সময় যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে সেটাকে বলে Tornadic waterspout যেটা অনেক অশান্ত প্রকৃতি হয় এবং ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।


Fair-weather waterspout যখন হয় তখন জলস্তম্ভ বা Waterspout টি জলভাগে (নদী, সমুদ্র) তৈরি হয় এবং ধীরে ধীরে ফানেলের মতো আকার ধারণ করে মেঘের দিকে উঠতে থাকে। কিন্তু Tornadic waterspout এর বেলায় Waterspout মেঘের নিচের দিক থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেমে জলভাগেও মিলিত হতে পারে আবার স্থলভাগ বা জমিতেও মিলিত হতে পারে। 


কিভাবে তৈরি হয় এটার উত্তর একদম সহজ ভাবে বললে, গরম বাতাস আর ঠান্ডা বাতাস পরস্পরের সংস্পর্শে আসলে এক প্রকার নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে এক প্রকার ঘুর্ণির সৃষ্টি হয়। যদি এই ঘুর্ণির সাথে পানিও উঠে আসে তাহলে সেটা তখন এরকম ফানেলের মতো আকার নেয় যেটাকে বলে Waterspout. 


সোর্স ও বিস্তারিতঃ https://earthsky.org/earth/all-about-waterspouts/


0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
বই কে আবিষ্কার করেন?

মানব সভ্যতার অগ্রযাত্রায় বইয়ের ভূমিকা অতুলনীয়। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে, চিন্তার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে এই নীরব বিপ্লবী সর্বদা নির্বিকার। ক্ষণস্থায়ী কাগজের পাতায় লেখা কথা, গল্প, কবিতা, বিজ্ঞান, দর্শন; মানুষের চিন্তা ও জ্ঞানের এই অমূল্য সম্পদ ধারণ করে বই কালের সাক্ষী হয়ে টিকে থাকে। আজ আমরা সেই মহান আবিষ্কারের ইতিহাস, বিকাশ ও অনন্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।


বই শব্দের উৎপত্তি ও বিবর্তন

"বই" শব্দটির উৎপত্তি আরবি "বহি" থেকে। ইংরেজিতে এর প্রতিশব্দ "book", যার উৎপত্তি প্রাচীন জার্মান শব্দ "*bōk-" থেকে। মজার ব্যাপার হলো, স্লাভীয় ভাষায় "буква" (বুকভা) শব্দের অর্থ ‘অক্ষর’, যা "বীচ" গাছের সাথে সম্পর্কিত। রুশ, সার্বীয় এবং ম্যাসেডোনীয় ভাষায় "букварь" (বুকভার) বা "буквар" (বুকভার) হলো প্রাথমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তক, যা ছোটদের পড়া ও লেখার মৌলিক শিক্ষা দেয়। এ থেকে ধারণা করা হয়, প্রাচীন ইন্দো-ইউরোপীয়রা বীচ কাঠে লেখালেখি করত। ল্যাটিন ভাষায় "codex" (কোডেক্স) শব্দের অর্থ ছিল ‘কাঠের ব্লক’। বর্তমানে কোডেক্স বলতে বাঁধাই করা, পৃথক পাতাসহ বই বোঝায়।


লেখার মাধ্যমের বিবর্তন

খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ সালের দিকে মিশরীয়রা প্যাপিরাস নামক এক ধরনের কাগজ আবিষ্কার করে। প্যাপিরাস গাছের কাণ্ড থেকে তৈরি এই কাগজে তারা বিভিন্ন ঘটনাবলি, হিসাব-নিকাশ, ধর্মীয় গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করত। গ্রিক এবং রোমানরাও পরে এই প্রযুক্তি গ্রহণ করে।
খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০ সালের দিকে চর্ম ব্যবহার শুরু হয়। বাছুর, ভেড়া বা ছাগলের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে তাতে লেখা হতো। ১০৫ খ্রিস্টাব্দে মোমের উপর লেখার প্রচলন ঘটে। এর পাশাপাশি চীনারা জিনিসপত্র মোড়ানোর জন্য কাগজ ব্যবহার করত। ৬০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে চীনা ও ইউরোপীয়রা লেখার সাথে ছবি ব্যবহার শুরু করে। ৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে চীনে প্রথম ছবিসহ বই ছাপানো হয়।


ছাপা বইয়ের সূচনা ও গুটেনবার্গের অবদান

১২৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে মিশরে এবং ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দের আগে ইউরোপের কিছু স্থানে অক্ষর বসিয়ে বই ছাপানো শুরু হয়। তবে এশিয়ায় তখনও গাছের বাকল, কলাপাতা বা তালপাতায় হাতে লেখা পুঁথির প্রচলন ছিল।
আধুনিক ছাপা বইয়ের জনক জোহান গুটেনবার্গ। ১৪৫৫ সালে তিনি তার আবিষ্কৃত ছাপাখানায় বাইবেল ছাপান। ৪২ লাইনের এই বাইবেল "গুটেনবার্গ বাইবেল" নামে বিখ্যাত। গুটেনবার্গের এই আবিষ্কার মানব সভ্যতার ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আনে। 


বই: জ্ঞানের অপ্রতিরোধ্য প্রবাহ

গুটেনবার্গের আবিষ্কারের পর থেকে বই জ্ঞান বিস্তারের প্রধান মাধ্যমে পরিণত হয়। বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য সহ সকল ক্ষেত্রেই বইয়ের অবদান অস্বীকার করা যায় না। বই কেবল আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে না, পাশাপাশি আমাদের চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায়, মন ও মননকে প্রসারিত করে।


একটি ক্ষুদ্র বীজ যেমন একটি বিশাল গাছে পরিণত হয়ে অসংখ্য ফল ধারণ করে, তেমনি একটি বই পরিণত হতে পারে অসংখ্য মানুষের জ্ঞানের উৎসে। তাই আসুন, আমরা সকলেই বই পড়ি, বইকে ভালবাসি এবং বইয়ের মাধ্যমে আত্মোন্নয়নের পথ সুগম করি।

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
টাইম ট্রাভেল কি? টাইম ট্রাভেল কি সম্ভব?

বর্তমান সময়ে সবথেকে মজার আর রহস্যময় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো টাইম ট্রাভেল। আজকে আমরা সেই বিষয়েই জানার চেষ্টা করবো! খুব কম ভাষায় সব কিছু বুঝানোর চেষ্টা করবো।


টাইম ট্রাভেল কি?


টাইম ট্রাভেল মানে হলো সময় ভ্রমণ করা। অর্থাৎ আপনি আপনার নিজের ইচ্ছা মতো আপনার অতীত কিংবা ভবিষ্যতে ভ্রমণ করতে পারবেন। 


টাইম ট্রাভেল কি আসলেই সম্ভব? 


এই প্রশ্নের এখনো কোনো নির্ভরযোগ্য উত্তর পাওয়া যায় নি যে আসলেই সম্ভব কিনা। অনেক মনে করেন সম্ভব আবার অনেকে মনে করেন যে সম্ভব না। তবে পদার্থবিজ্ঞান এর মতে, যদি আপনি আলোর বেগে মানে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারেন তাহলে আপনি টাইম ট্রাভেল করতে পারবেন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এই বেগ বাস্তবে তুলতে পারে এরকম কোনো ইঞ্জিন বা যন্ত্র তৈরি হয় নি। তাই আপাতত টাইম ট্রাভেল সম্ভব না।


আবার আইন্সটাইনের মতে, মহাবিশ্বে ওয়ার্মহোল নামক একটা বিশেষ টানেল বা গর্ত বিদ্যমান যার সাহায্যে আলোর বেগে না চলেও টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব। এখন প্রশ্ন হলো ওয়ার্মহোল কি? 


ওয়ার্মহোল বুঝার আগে আপনাকে আরেকটা জিনিস ভালো করে বুঝতে হবে সেটা হলো প্যারালাল ইউনিভার্স বা মাল্টিভার্স থিওরি। বিজ্ঞানিদের ধারণা আমরা আমাদের এই পৃথিবীতে যেসব কাজ কর্ম করছি এরকম কাজ হুবহু মহাবিশ্বে থাকা আরোও অসংখ্য ইউনিভার্সে থাকা অসংখ্য পৃথিবীতেও ঘটছে। 


সহজ ভাবে, আপনি আমি শুধু একা না আরোও অসংখ্য আপনি আমি আছি এই মহাবিশ্বে। আপনি আমি যেই পৃথিবীতে আছি সেটা একটা ইউনিভার্স আর অন্য আরেকটা পৃথিবীতে আপনি আমি আছি সেটা আলাদা আরেকটি ইউনিভার্স। এরকম ইউনিভার্সের সংখ্যা এই ভ্রম্মান্ডে অসংখ্য! এগুলো কে বলে মাল্টিভার্স।


মাল্টিভার্স অনেক মজা একটা থিওরি। ধারণা করা হয় আপনি আমি এই ইউনিভার্সে মানুষ হিসেবে আছেন অন্য আরেকটা ইউনিভার্সে মানুষ নাও থাকতে পারেন। হতে পারে অন্য আরেকটি ইউনিভার্সে আপনি অন্য কোনো প্রানী। আবার এই ইউনিভার্সে আপনি গরীব অন্য আরেকটি ইউনিভার্সে হতে পারে আপনি ধনী। মানে আপনি সম্পুর্ণ ভিন্ন আরেকটা ক্যারেক্টার প্লে করছেন এরকম হতেই পারে। এসব বলে কেন মাথা খাচ্ছি তা একটি পরেই বুঝতে পারবেন।


তাহলে এখন প্রশ্ন হলো প্যারালাল ইউনিভার্স আর মাল্টিভার্স কি একই? 


উত্তর হতে পার হ্যাঁ আবার না। কেননা আমি একটু আগেই বললাম, আপনি এই ইউনিভার্সে যেমন অন্য ইউনিভার্সে তেমন নাও হতে পারেন। আবার এমনও অনেক ইউনিভার্স আছে যেখানে আপনি হুবহু সেম। অর্থাৎ আপনার ক্যারেক্টার, পরিবেশ, পরিবার সব সেম। এটাও হতে পারে সেই ইউনিভার্সের টাইম আপনার বর্তমানের সাথেই চলছে আবার এটাও হতে পারে সেই ইউনিভার্সের টাইম আপনার ইউনিভার্সের থেকে অনেক পিছনে অর্থাৎ আপনার অতীত। আবার এটাও হতে পারে অন্য আরেকটা ইউনিভার্সের টাইম আপনার ইউনিভার্স থেকে অনেক এগিয়ে অর্থাৎ আপনার ভবিষ্যৎ। 


প্যারালাল ইউনিভার্সের ছবি - টাইম ট্রাভেল এক্সপ্লেনেশন


এখন আমরা প্যারালাল ইউনিভার্স বলতে সেসব ইউনিভার্সকেই বলতে পারি যেসব ইউনিভার্সের ক্যারেক্টার, পরিবেশ সেম অর্থাৎ আপনার বর্তমান পৃথিবীর মতো কিন্তু শুধু সময়টা ভিন্ন। সময়টা হতে পারে আপনার ইউনিভার্স থেকে পিছনে বা এগিয়ে বা সমান। আশা করি প্যারালাল আর মাল্টিভার্সের ধারনা বুঝাতে পেরেছি।


এখন তাহলে ওয়ার্মহোল কি?


ওয়ার্লহোল হলো এমন একটা টানেল যেটা আমাদের ইউনিভার্সের সাথে প্যারালাল ইউনিভার্সের কানেক্ট করে। এই টানেলের সাহায্যে সহজেই আমাদের ইউনিভার্স থেকে প্যারালালে থাকা আরেকটা ইউনিভার্সে আবার সেই ইউনিভার্স থেকে আমাদের ইউনিভার্সে আসতে পারে। এক কথায় শর্টকাট। 


ওয়ার্ম হোলের ছবি - টাইম ট্রাভেল বাংলা


কিন্তু ওয়ার্ম হোলের ব্যাস ১ সে.মি. এর কয়েক লক্ষ ভাগের একভাগ এবং খুবই স্বল্প সময়েই জন্য এটা তৈরি হয় আবার হারিয়ে যায়। তাই এই ওয়ার্মহোল ব্যবহার করাও খুব সহজ কথা নয়। বর্তমান প্রযুক্তি দিয়ে তো সম্ভবই না, এখন দেখার পালা ভবিষ্যতে কি হয়। 


প্যারাডক্স কি? 


টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো সমাধান হয়নি যেগুলো প্যারাডক্স নামে পরিচিত। যেগুলো শুনলে আপনার মনে হবে না যে টাইম ট্রাভেল আসলেই সম্ভব। অনেক প্যারাডক্স আবিষ্কার করেছে অনেকে কিন্তু তাদের মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত হলো "গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্স"।


গ্র‍্যান্ডফাদার প্যারাডক্স কি? 


মনে করুন আপনি টাইম ট্রাভেল করে আপনার অতীতে গেলেন এবং অতীতে গিয়ে আপনার বাবার জন্মের আগেই আপনার দাদাকে মেরে ফেললেন। যদি অতীতে আপনার দাদা আপনার বাবাকে জন্ম দেওয়ার আগেই মারা গিয়ে থাকে তাহলে বর্তমানে আপনার বাবা আসলো কই থেকে? কারণ আপনার বাবার জন্ম হওয়ার আগেই তো আপনার দাদা মারা গেছে। আর আপনার বাবার জন্ম না হলে আপনিই বা আসলেন কোথা থেকে? টাইম ট্রাভেলই বা করলেন কিভাবে? বাবা জন্ম নেয় নাই মানে আপনিও জন্ম নেন নাই অর্থাৎ আপনার কোনো অস্তিত্বই নাই! তাহলে টাইম ট্রাভেল করলো কে আর দাদাকেই বা হত্যা করলো কে? 


এরকম আরোও অনেক প্যারাডক্স আছে। কিন্তু সব প্যারাডক্স কিন্তু অতীতকে নিয়েই। আপনি অতীতে গিয়ে কিছু পরিবর্তন করলে সেটার ফল আপনি বর্তমানে পাবেন। অতীতে গিয়ে কোনো পরিবর্তন করলে সেটা আপনার বর্তমান সময়ে প্রভাব ফেলবে এমনকি আপনার অস্তিত্বও বিলুপ্ত হতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে গিয়ে কোনো পরিবর্তন করলে অর্থাৎ আজ থেকে ২০ বছর ভবিষ্যতে গিয়ে যদি কিছু পরিবর্তন করেন তাহলে আপনার বর্তমান সময়ের ২০ বছর পরেই সেটার ফলাফল পাবেন এটাই স্বাভাবিক। এই কারণে আপনার বর্তমান সময়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই কারণেই স্টিফেন হকিংয়ের মতো অনেক বিজ্ঞানির মতে, টাইম ট্রাভেল করে ভবিষ্যতে গেলেও অতীতে যাওয়া সম্ভব না। আর যদি যাওয়া যায়ও তাহলে অতীতে কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না! শুধু দর্শনার্থীদের মতো অতীত দেখতে পারবে কিন্তু কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে প্রকৃতি তাকে বাধা দিবে।


তাহলে এর সমাধান কি? টাইম ট্রাভেল কি তাহলে সম্ভব না? টাইম ট্রাভেল করে কোনো ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করা গেলেও অতীত পরিবর্তন করা যাবে না? 


আসল টুইস্ট এখানেই। এখানেই সব উত্তর পেয়ে যাবো। টাইম ট্রাভেলের সকল প্যারাডক্সের ব্যাখ্যা দেওয়া যায় প্যারালাল ইউনিভার্স আর টাইমলাইন দিয়ে। 


প্যারালাল ইউনিভার্সের ব্যাখ্যা হলো বিজ্ঞানীদের ধারণা আর টাইমলাইন হলো বিভিন্ন সাইন্স ফিকিশনের ব্যাখ্যা।


প্রথমেই আমরা জানবো প্যারালাল ইউনিভার্সের ব্যাখ্যাঃ


প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে তো প্রথমেই বলেছি তাই নতুন করে কিছু বলার নাই। ওয়ার্মহোলের মাধ্যমে প্যারালাল ইউনিভার্সে যাওয়া সম্ভব এটাও আপনারা জানেন। প্যারালাল ইউনিভার্স তো আমাদের ইউনিভার্স থেকে সম্পুর্ন আলাদা ইউনিভার্স। সেখানে আমাদের মতো সব কিছু সেম থাকলেও ওই ইউনিভার্সের আপনি আমির সাথে আমাদের ইউনিভার্সের কোনো কানেকশন নাই। তাই আপনি ওয়ার্মহোল দিয়ে টাইম ট্রাভেল করেছেন মানে এটাই যে আপনি সম্পূর্ণ আলাদা আরেকটা ইউনিভার্সে চলে গেছেন। সেখানে গিয়ে যদি আপনি অতীতে হোক কিংবা ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন করেনও তাহলে তো সেটা সেই ইউনিভার্সেই করেছেন! তাহলে পরিবর্তন হলে তো সেই ইউনিভার্সেই হবে আপনার বর্তমান ইউনিভার্সে কিভাবে হবে? 


তার মানে আপনি ঐ ইউনিভার্সে গিয়ে আপনার দাদা, বাবা, নানা যাকেই মেরে ফেলেন না কেন, যাকেই জোর করে বিয়ে করে বউ বা বর বানান না কেন তাহলে সেটা শুধু ঐ ইউনিভার্সেই পরিবর্তন হবে! আপনার বর্তমান ইউনিভার্সে কোনো প্রভাব পড়বে না। সব আগের মতোই থাকবে। তাহলে লাভ কি হলো? 


এবার তাহলে আসি টাইমলাইন ব্যাখাঃ


একটা ইউনিভার্সের সময়কেই বলা টাইমলাইন।

টাইমলাইন ব্যাখ্যা অনুযায়ী আপনি কোনো প্যারালাল ইউনিভার্সে নয় বরং আপনার নিজের ইউনিভার্সেই টাইম ট্রাভেল করে অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে যেতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি আপনার ইউনিভার্সের টাইমলাইনের অতীতে কিংবা ভবিষ্যতে যেতে পারবেন। কিন্তু অতীতে গিয়ে যদি আপনি কোনো চেঞ্জ করেন তাহলে সেই মুহুর্ত থেকেই আলাদা একটা টাইমলাইন তৈরি হয়ে যাবে। অর্থাৎ বলতে পারেন আলাদা একটা ইউনিভার্স তৈরি হয়ে যাবে সেই মুহুর্ত থেকে যে মুহুর্তে আপনি কিছু চেঞ্জ করেছেন। তাই আপনার চেঞ্জের প্রভাব আপনার সৃষ্টি করা ইউনিভার্সের টাইমলাইনেই প্রভাব ফেলবে কিন্তু আপনার বর্তমান টাইমলাইনে সব কিছু ঠিকঠাকই থাকবে।

এভাবে যদি ভবিষ্যতে গিয়ে কিছু চেঞ্জ করেন তাহলে আপনি আপনার টাইমলাইনে যখন ভবিষ্যতের সেই মুহুর্তে পৌঁছে যাবেন তখন সেই মুহুর্ত থেকে আপনারা চেঞ্জের কারণে অন্য আরেকটা টাইমলাইন তৈরি হবে কিন্তু আপনার টাইমলাইনে কোনো প্রভাব পড়বে না। 


উপরের দুইটা ব্যাখ্যাতেই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় যে যদি কখনো টাইম ট্রাভেল সম্ভব হয়ও তবুও আমরা আমাদের অতীত কিংবা ভবিষ্যত কিছুই চেঞ্জ করতে পারবো না! বরং আমাদের চেঞ্জের কারণে সময়ের বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে! 


আশা করি আজকের এই লেখায় টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে সকল ডাউট ক্লিয়ার করতে পেরেছি! যদি এরপরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে করতে পারেন আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ!  


আরেকটা কথা যেটা না বললেই নয়! টাইম ট্রাভেল সম্পর্কে সকল থিওরিই প্রায় ধারণার উপর! এখনো কেউ এসব সত্যিকার অর্থে আবিষ্কার করতে পারে নি। আইন্সটাইন ওয়ার্মহোল সম্পর্কে ধারণা দিয়ে বলেছেন ওয়ার্মহোল দিয়ে টাইম ট্রাভেল সম্ভব কিন্তু তার এই তথ্যের সত্যতা এখনো পাওয়া যায় নি। কিন্তু আইন্সটাইনের অন্যান্য প্রায় সকল থিওরিই পরবর্তীতে একবাক্যে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার এই ধারণাও সত্যি বলে ধরা হয়! এই জন্যই আইন্সটাইন সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী! 

0 টি পছন্দ 0 টি অপছন্দ
শূন্য কে আবিষ্কার করেন?

শূন্যের ধারণা একাধিক সভ্যতার জ্ঞানচর্চার ফসল। তবে, বিশেষভাবে শূন্যের গাণিতিক প্রতীক এবং এর ব্যবহার ভারতীয় গণিতবিদদের অবদান হিসেবে স্বীকৃত।


প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত (খ্রিস্টাব্দ ৫৯৮–৬৬৮) প্রথম শূন্যকে একটি সংখ্যারূপে বিবেচনা করেন এবং এর ব্যবহারকে গণিতের নিয়মে অন্তর্ভুক্ত করেন। তাঁর রচনা "ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত"-এ শূন্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়। ব্রহ্মগুপ্ত তার এই রচনায় শূন্যকে অন্য সংখ্যার সাথে যোগ, বিয়োগ এবং গুণ করার নিয়মও সংজ্ঞায়িত করেন। ভারত থেকে শূন্যের ধারণাটি আরব দুনিয়ায় পৌঁছায় এবং পরে ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ে।


তাই প্রাথমিক ভাবে ব্রহ্মগুপ্ত কে শূন্য এর জনক বলা যায়। 

একটা প্রশ্ন করে নিজে জানুন অন্যকে জানতে সহায়তা করুন
সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। এখানে আপনি আপনার বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগতসহ যেকোনো সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং অন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করতে পারবেন। আজই আমাদের সাথে শুরু করে দিন আপনার পথচলা।
...