হ্যা। এআই দিয়ে যেকোনো মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্টের নকল বানানো সম্ভব। এরকমই একটা গবেষণা করেছিলো New York University Tandon School of Engineering এর একদল গবেষক এবং তারা সফলও হয়েছে।
তারা একটি নিউরাল নেটওয়ার্ককে ট্রেইন করার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নকল করার জন্য। তারা বেশ কয়েক জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একটি সেগুলোক এআই এর মাধ্যমে প্রসেস, অ্যানালাইসিস করে একটা মাস্টার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বানায়। এই মাস্টার ফিঙ্গারপ্রিন্টকে নাম দেওয়া হয় DeepMasterPrints.
আমরা যেসব ডিভাইস ইউজ করি, এই ডিভাইস গুলোর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন এর সিস্টেম একটু অবাক করার মতোই। আমরা যখন আমাদের মোবাইলে বা অন্য কোনো ডিভাইসে আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেট করে দেওয়ার পর আনলকের জন্য আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিই তখন আমাদের পুরো ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাথে ম্যাচ করে না, শুধু আংশিক বা পার্শিয়াল একটি অংশ ম্যাচ করে দেখে। যদি এই পার্শিয়াল অংশ ম্যাচ করে তাহলে আমরা আনলক করতে পারি।
বিষয়টি আরেকটু ভালো ভাবে বুঝালে হয় তো আরও সুবিধা হবে। যখন আপনি আপনার মোবাইলে প্রথম বার সেটিংসে গিয়ে আপনার ফিঙ্গাপ্রিন্ট সেট করেন তখন আপনাকে আপনার আঙ্গুলের বিভিন্ন অংশের প্রিন্ট দিতে হয়, বেশ কিছুক্ষ্ণ টাইমও লাগে। কিন্তু যখন আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ফোন আনলক করতে যান তখন কি এতো কিছু করতে হয়? না, তখন দেখবেন আপনার আঙ্গুলের যেকোনো একটি অংশ দিলেই আনলক হয়ে যাচ্ছে।
এটাই মুলত ফিঙ্গারপ্রিন্টের দুর্বলতা আর এটাকে কাজে লাগিয়েই New York University Tandon School of Engineering এর গবেষকরা পুরো সিস্টেমকে বোকা বানাতে পেরেছে। কয়েকজনের পার্শিয়াল ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে একটা মাস্টার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বানিয়েছে, এবং এই পার্শিয়াল ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশনকে ক্র্যাক করেছে।
তবে কিছু কিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম আবার ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি Liveness Detection (ব্লাড প্রেশার, দেহের তাপমাত্রা) ব্যবহার করে আসল নকল ডিটেক্ট করে। কারণ একজন মৃত মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিংবা নকল ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে যাতে ক্র্যাক না করা যায়। প্রযুক্তির সাথে সাথে এসব বায়োমেট্রিক সিস্টেমগুলো আরও আপগ্রেড হচ্ছে।
সোর্স ও বিস্তারিত জানতেঃ https://engineering.nyu.edu/news/machine-learning-masters-fingerprint-fool-biometric-systems